Your experience on this site will be improved by allowing cookies
Google এর মতে, SEO ফ্রেন্ডলি টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশনেথাকা কিওয়ার্ড সবসময় আপনার কন্টেন্ট/আর্টিকেলকে র্যাংকিংয়ে গুরুত্বের সাথে সাহায্য করে থাকে।
গুগল আপনার কন্টেন্ট এর বিষয়বস্তু বোঝার জন্য আপনার মেটা ডেসক্রিপশনব্যবহার নাও করতে পারে, আপনার কন্টেন্ট এর যে কোন অংশ গুগল মেটা ডিসক্রিপশন হিসেবে সার্চ পেজে শো করাতে পারে।
তাই আপনি যদি এসইও ফ্রেন্ডলিটাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন লেখতে চান তাহলে এই কন্টেন্ট টি আপনার জন্য।
তাহলে
চলুন টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:
টাইটেল হচ্ছে কন্টেন্ট এর প্রাণ। একটি কনটেন্ট এর মূল জিনিস টাই হচ্ছে টাইটেল। আপনার পোস্টটি কি বিষয়ের সেটা একটি টাইটেল এর মাধ্যমে আপনাকে বুঝাতে হবে।
অনেক সময় আমরা বিভিন্ন কিওয়ার্ড রিসার্চ করি কিন্তু সেই কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে ভালো টাইটেল তৈরি করতে পারি না। যার ফলে কনটেন্ট যদিও ভালো থাকে কিন্তু ওই কনটেন্ট টি দেখতে সুন্দর লাগে না। কিংবা টাইটেলের পুরো কনসেপ্ট কন্টেন্ট এর সাথে মিল থাকে না।
তাই সবসময় চেষ্টা করবেন একটি আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করার জন্য। যেন ভিজিটররা সার্চ পেজে আপনার টাইটেল দেখে আকর্ষিত হয়ে সাইটে প্রবেশ করে। এজন্য আপনি অনলাইনের বিভিন্ন রকমের টুলস রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
আমার মতে, কন্টেন্টের টাইটেল হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অন-পেজ এসইও ফ্যাক্টর। কারণ কন্টেন্ট এর টাইটেল সার্চ ইঞ্জিন গুলিকে আপনার কন্টেন্ট এর বিষয়ে একটি উচ্চ-স্তরের ওভারভিউ দিয়ে থাকে।
নির্বাচিত কীওয়ার্ডটি টাইটেলে শুরুতে যত কাছাকাছি হবে, সার্চ ইঞ্জিনের সাথে এটির গুরুত্ব তত বেশি হবে।
আপনার কন্টেন্টটি অডিয়েন্স এর কাছে কেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করবে তা নির্ধারণ করে আপনার কন্টেন্ট এর টাইটেলের উপর। ভিজিটররা যখন কোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম ১০ টি রেজাল্টের ভেতর যেটার টাইটেল সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় সাধারণত সেটাতেই তারা ক্লিক করে।
তাই টাইটেলের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। আকর্ষনীয়, সুন্দর ও পারফেক্ট ভাবে টাইটেল ব্যবহার করুন। টাইটেল নির্বাচনের এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন সেটি যেনো লং টেইল টাইটেল হয়। কেননা লং টেইল টাইটেল দিয়ে সহজে র্যাংক করা যায়।
কন্টেন্টে এমন ছোট টাইটেল দিবেন না যাতে ভিজিটররা মুল বিষয়বস্তু বুঝতে অক্ষম হয়। টাইটেলটি কে ভিজিটরের বোধগম্য করতে লং টেইল টাইটেল ব্যবহার করুন।
আপনার নির্ধারিত কিওয়ার্ডকে সব সময় টাইটেলের শুরুতে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। কারণ একজন ভিজিটর যখন কোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করবে তখন আপনার কন্টেন্ট যদি গুগলের ফার্স্ট পেজে থাকে এবং ফোকাস কিওয়ার্ড টি যদি শুরুতেই থাকে তাহলে অপেক্ষাকৃত বেশি ভিজিটর আশা করা যায়।
টাইটেল কে আকর্ষণীয় করতে অবশ্যই টাইটেলের ভিতরে বা শেষে পাওয়ার ওয়ার্ড রাখুন। কেননা পাওয়ার ওয়ার্ড ব্যবহার এর ফলে ভিজিটর এর আগ্রহ বাড়ে আর্টিকেলের ভেতরে ঢুকতে।
পাওয়ার ওয়ার্ড হচ্ছে সেটাই যা মানুষ দেখলেই আকর্ষিত হয়ে আপনার সাইট ভিজিট করবে। যেমন- বিস্তারিত, আপডেট, পর্যালোচনা, গাইডলাইন, চেকলিস্ট, টপ টেন, বেস্ট, ওয়ান্ডারফুল, টপ, নিউ, মোস্ট, এক্সক্লসিভ, এমাজিং ইত্যাদি। এসব দেখলে ভিজিটররা সাধারণত আকর্ষিত হয় ফলে সাইটে ভিজিটর আসে এবং কন্টেন্ট র্যাংক করতে সাহায্য করে।
যে কোন কন্টেন্ট এর মেটা ডেসক্রিপশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বাড়িয়ে দেয়। একটা আকর্ষনীয় মেটা ডেসক্রিপশন আপনার পেজের সিটিআর বাড়িয়ে দিবে। তাই কিভাবে ভালো মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার করা যায় সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
মেটা ডেসক্রিপশনকে কন্টেন্ট সারাংশ বা সারমর্ম এর মতো করবেন। এতে ভিজিটর এবং গুগুল বুঝবে আপনার কন্টেন্ট সার্চ কৃত কিওয়ার্ডের জন্য রিলেভেন্ট কিংবা ভিজিটর যা খুজছে তা এখানে আছে।
মেটা ডেসক্রিপশনে কিওয়ার্ড স্টাফিং না করে যদি সেটাকে কিভাবে আকর্ষনীয় করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখেন, তাহলে সেটা আপনাকে ভালো র্যাংকিং এ সাহায্য করবে। মনে রাখবেন আকর্ষনীয় মেটা ডেসক্রিপশন > বেস্ট সিটিআর > বেস্ট র্যাংকিং।
মেটা ডেসক্রিপশনে এই ব্যাপারটা ফুটিয়ে তোলা যায় যে, কেনো আপনার কন্টেন্ট টা অন্যান্য কন্টেন্ট থেকে ভালো? কেনো ভিজিটর এটাতে ক্লিক করবে? এটাতে ক্লিক করে ভিজিটর কি কি জানতে পারবে? যা অন্য কন্টেন্টগুলো থেকে পারবে না।
কখনোই টাইটেল এবং মেটা ডিসক্রিপশন কপি করা যাবেনা। খেয়াল রাখবেন আপনার ওয়েবসাইটের প্রত্যেক কন্টেন্ট এর টাইটেল এবং মেটা ডিসক্রিপশন যেন ভিন্ন এবং ইউনিক হয়।
0 comments