img

Blog Details

img
Google AdSense

গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার সম্পূর্ন গাইডলাইন

Administration / 4 Dec, 2022

গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়া বর্তমানে অর্থ উপার্জন করার অন্যতম মাধ্যম। কেননা, একবার এডসেন্স ব্লগ ও ওয়েবসাইটকে এপ্রুভ করে দিলেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্লগ ও ওয়েবসাইটের দ্বারা ইনকাম করার পথ সহজ হয়ে যায়। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

Google AdSense কী?


Google AdSense হল একটি বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে প্রকাশকরা সাইটের বিষয়বস্তু এবং দর্শকদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবসাইট, YouTube, ছবি বা ইন্টারেক্টিভ মিডিয়া বিজ্ঞাপন তৈরি করে অর্থ উপার্জন করতে ব্যবহার করে থাকে।

গুগল হল পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ Advertising Network. কারণ গুগলের যত বেশি ব্যবহাারকারী আছে, পৃথিবীর অন্য কোনো প্লাটফর্মে তা নেই। তাই বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিরা তাদের পণ্যের প্রসারের জন্য গুগলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে।

গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল (Approval) কি?


যখন গুগল এডসেন্স ব্লগ, ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ইমেইলের মাধ্যমে অনুমোদন (approval) দিবে, সেটাকেই বলা হয় ”গুগল এডসেন্স”।

গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য কার্যকরী দিকনেদর্শনা:

১/ এমন টপিক নিয়ে লিখতে হবে, যেসব বিষয়ের উপর গুগলের কাছে বিজ্ঞাপন রয়েছে । এখন সেটা কিভাবে বুঝবেন যে গুগলের কাছে কোন টপিকের উপর বিজ্ঞাপন বেশি রয়েছে? তা জানতে skyfu সাইটটি ব্যবহার করতে হবে।

এই সাইটে গিয়ে যে নিশ নিয়ে লিখা হবে সেই নিশটা লিখে সেখানে সার্চ করতে হবে, তাহলে সাইটটি দেখাবে উক্ত টপিকের উপর গুগলের কাছে কেমন বিজ্ঞাপন রয়েছে । এর কারণ যদি গুগলের কাছে রয়েছে এমন বিজ্ঞাপন অনুযায়ী কনটেন্ট পাবলিশ করা হয়, তাহলে দ্রুত এডসেন্স পাওয়া যাবে। 

২/ আর্টিকেলে LSI কিওয়ার্ডযুক্ত করতে হবে । LSI কিওয়ার্ড বলতে বুঝায় সেসব কিওয়ার্ড যা কোনোকিছু গুগলে সার্চ করলে গুগল সবার শেষে সাজেষ্ট করে থাকে । এতে করে আর্টিকেল রেংকিংও ভালো হবে।

৩/ প্রতিটি আর্টিকেলের গড় শব্দ ১৪০০ শব্দের রাখার চেষ্টা করতে হবে । সাইটের গড় শব্দ ১৫০০+ শব্দের হলে তা এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে সহায়ক।

৪/ নতুন সাইটে ডাউনলোড , এডস অথবা বিজ্ঞাপন , হ্যাকিং ,লিংক  এইসব শব্দ ব্যবহার করা হতে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে গেলে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ডাউনলোড লিংক সরাসরি দিলে এডস লিমিট ও কিছুদিনের মধ্যে সাসপেন্ড হতে হবে, সেক্ষেত্রে গুগল ড্রাইভের লিংক দেয়া ই শ্রেয়।

৫/ লাইভ স্ট্রিমিং ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করা হতে বিরত থাকতে হবে।

৬/ এমন সাইটকে লিংক করা হতে বিরত থাকতে হবে, যাদের SSl সার্টিফিকেট নেই । এবং এমন কোনো ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিংক লিংক করা হতে বিরত থাকতে হবে যা এখন exist করে নাহ, যার ফলে 404 error দেখাবে।

৭/ এমন সাইটের সাথে লিংক করা হতে বিরত থাকতে হবে, যা সাইটের অথবা যে পোষ্ট লিখা হয়েছে তার সাথে সম্পর্কিত নাহ । কেননা গুগল misleading webpage প্রবলেম ধরে থাকে।

৮/ সাইটের নেভিগেশন ঠিক থাকা চাই । যেমন : ক্যাটাগরিগুলোকে মেইন মেনুতে যুক্ত করে দেওয়া ।এবং contact us,about us,term and condition ,privacy policy পেইজ গুলোকে Footer menuতে যুক্ত করে দেওয়া ।

৯/ সাইটকে মোবইল রেসপনসিভ করে তৈরী করা । কারণ বেশিরভাগ ট্রাফিক মোবাইল থেকেই আসে তাই সাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি অবশ্যই হতে হবে ।

ব্লগ সাইট করে যদি এডসেন্স থেকে ইনকাম করার কথা চিন্তা করা হয়, তাহলে সাইটকে কখনো বেশি ডিজাইন করা যাবে নাহ । সাইটকে সিম্পলভাবে প্রফেশনাল লুক দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কেননা অতিরিক্ত ডিজাইন সাইটের লোডিং টাইম বাড়িয়ে দেয়।

১০/ যে থিমটা ব্যবহার করা হয় তা এডস ফ্রেন্ডলি কিনা চেক করে দেখতে হবে । সবচেয়ে ভালো একটা ফ্রি ওয়ার্ডফ্রেস থিম হচ্ছে : Oceanwp Theme। ফ্রিমিয়াম প্রায় সব থিমেই গুগল এডসেন্স পাওয়া যায় তবে Generatepress এ ভালো এডসেন্স পাওয়া যায় যা লক্ষণীয়।  

১১/ গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার আগে সাইটে স্লাইডার,পপআপ ব্যবহার না করাই বেস্ট অর্থাৎ, সাইট হবে একদম সাদামাঠা।

১২/ contact us, about us, terms and condition page, privacy policy pageগুলো খুব ভালো করে সঠিক তথ্য দিয়ে তৈরী করতে হবে । টার্মস এন্ড কন্ডিশন ও প্রাইভেসি পলিসি পেইজ তৈরীর জন্য নতুনরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটের সাহায্য নিতে পারে । অনেক সাইট রয়েছে যারা এই পেইজগুলো জেনারেট করে দিয়ে থাকে ।

১৩/ ওয়েবসাইট সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এডসেন্স পেতে । কেননা, SSl সার্টিফিকেট একটিভ না থাকলে গুগলের কাছে সাইটটি নিরাপদ নয় বলে প্রযোজ্য।

এছাড়াও নালড ও ক্র্যাক থিম – প্লাগিন ব্যবহার যদি করা থাকে, তাহলে অনেক সময় সাইটে ভাইরাস আক্রমন হবে । যার ফলে ক্রোম বাউজারে “red screen deceptive “Error আসতে পারে। তাই সাইটকে সিকিউরিটিফুল করে রাখতে হবে ।

১৪/ সাইট স্পিড অপটিমাইজেশন করাও গুরুত্বপূর্ণ । কারণ যখন সাইট দ্রুত লোড হবে তখন সাইট ইউজারের কাছে খুব ভালো লাগবে এবং গুগলও এমন সাইটকে দ্রুত রেংকিং দিয়ে থাকে। যার ফলে প্রচুর ট্রাফিকও পাওয়া যায় এবং ট্রাফিক যেসব সাইটে থাকে সেসব সাইটে গুগল ৯০% এপ্রুভ দিয়ে দেই ।

১৫/ সাইটে যেখানে ইমেইজ বা ব্যানারের জন্য জায়গা বা ডিজাইন করা হয়েছে সেখানে ইমেইজ বা ব্যানার ইমেইজ ব্যবহার করতে হবে। অন্যাথায় গুগল “site construction” এ রয়েছে এমন মনে করে প্রবলেম ধরবে ।

১৬/ ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করলে গুগল এডসেন্স সহজে এবং দ্রুত এপ্রুভাল পাওয়া যেতে পারে।

১৭/ নিজে ইমেইজ তৈরী করে ব্যবহার করতে হবে । যেমন : canva ও ফটোশপ দিয়ে তৈরী ছবি। Pexels,Unplash সাইটগুলোর ফ্রি ইমেইজ ব্যবহার করা যায়, তবে সে ইমজেইগুলোকেও একটু এডিট করে পোষ্ট করাই ভালো ।

অতিরিক্ত তথ্য


এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার পর নিজের এডসে নিজে ক্লিক করা বা কাউকে ক্লিক করার জন্য বলা হতে বিরত থাকতে হবে । কারণ এতে লিমিট বা সাসপেন্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এক পেইজে ৫টার বেশি এডস না দেখানো ভালো । কারণ অতিরিক্ত এডস দেখালে সাইট স্লো হয়ে যাবে ।

আশা করা যায়, এই জিনিসগুলো যদি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়, তাহলে যেকোনো কেউ-ই সহজে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাবে।

0 comments